Monday, December 9, 2019

মেধাবী শিক্ষার্থী আদনান তাসিন হত্যাকাণ্ড বিচারহীনতার ৩০০তম দিবস






















৮ই ডিসেম্বর ২০১৯ ইং রোজ রবিবার বাংলাদেশ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আদনান তাসিন হত্যার ৩০০তম দিন, নিরাপদ সড়ক আন্দলন (নিসআ), যাত্রী কল্যাণ সমিতি, এক্সেস টু হিউম্যান রাইট সহ বিভিন্ন কলেজ বিশ্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সহ বিভিন্ন সংগঠন একত্রিত হয়ে "আদনান তাসিন"হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধনের আয়োজন করেছে। উক্ত মানববন্ধনে অন্যান্য সংগঠনের কেন্দ্রীয় কর্মীরাসহ উপস্থিত ছিলেন, নিরাপদ সড়ক আন্দলন (নিসআ) মোহাম্মাদ তুহিন ফারাবি (সদস্য সচিব, কেন্দ্রীয় কমিটি নিসআ ও আহ্বায়ক-বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ, সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়) ইনজামুল হক রামিম (যুগ্ম আহ্বায়ক, কেন্দ্রীয় কমিটি নিসআ) আব্দুল্লা মেহেদি দিপ্ত (যুগ্ম আহ্বায়ক, কেন্দ্রীয় কমিটি নিসআ), সাব্বির হসেন, মেহেরুন নিপা প্রমুখ, এক্সেস টু হিউম্যান রাইট চেয়ারম্যান এডভোকেট এনামুল হক সরকার, সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) ইশতিয়াক আহমেদ বেলাল, মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা এডভোকেট মাজেদা মনি, এম সহিদ উদ্দিন এ্যানি, যাত্রী কল্যাণ সমিতির জিয়াউল হক, সড়কে সন্তান স্বজনহারা অভিভাবক ফোরামের মুক্তিযোদ্ধা আমান উল্লাহ সিকদার, বাইং গার্মেন্টস এম্পপ্ল্যী ফোরামের করিম, আশিকুর রহমান বাবু, মাহাবুবুর রহমান টিটন, পায়রা নিউজ এর সম্পাদক আখন্দ সালমান সাদি, এলাকাবাসী বাবর রহমান, সমগ্র সমাবেশটি পরিচালনা করেন মোহাম্মাদ তুহিন ফারাবি (সদস্য সচিব, কেন্দ্রীয় কমিটি নিসআ ও আহ্বায়ক-বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ, সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়) ব্যবস্থাপনায় ছিলেন নিরাপদ সড়ক আন্দলন (নিসআ),

মানববন্ধনে শহীদ আদনান তাসিনের বাবা আহসান উল্লাহ টুটুল বলেন, তাসিন হত্যার ৩০০ দিন অতিবাহিত হলেও এখনো ঘাতকদের ধরা হয়নি। বিচারের জন্য প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে শরণাপন্ন হলেও কোনো ধরনের বিচার সহানুভূতি বা বিচারের আশ্বাস পাইনি। তিনি আরও বলেন, সড়কে হত্যা, খুনের বিরুদ্ধে গণজাগরণ সৃষ্টি করতে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সব হত্যাকারী ঘাতকের সর্বোচ্চ সাজা ফাঁসি কার্যকর করতে হবে। বিচারহীনতা অপরাধ প্রবণতা থেকে অনুপ্রাণিত করে। নতুন নতুন আইন নয়,

আদনান তাসিনের হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও বিচারের আওতায় না আনা হলে - হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে সমগ্র দেশে বৃহৎ আন্দোলনের কর্মসূচী ঘোষণা করা হবে

তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন সম্প্রীতি কিছু সংখ্যক সন্ত্রাসী সড়কে নেমে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে, নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা ইলিয়াস কাঞ্চনের ছবিকে লাঞ্ছিত করে, নারীদের লাঞ্ছিত করে, পিইসি পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা দিতে বাধা দেয়, মুমূর্ষু রোগীবাহী এম্বুলেন্স চলতে দেয়নি।পুরো সড়ক জুড়ে মাত্র গুটি কয়েক ঘাতক ত্রাস ও সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। তারা সাধারন পথচারী- গাড়ির চালককে পোড়া মবিল মুখে মেখে দেয়,কিন্তু প্রশাসন তাদেরকে বারণও করেননি-বাধাও দেননি। পুরো বিশ্ব মিডিয়া তা দেখে অবাক বিস্মিত ! অথচ সড়কে হত্যাবন্ধ ও বিচারের দাবিতে যখন শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নামে তখন কমলমতি শিক্ষার্থীদের উপর হামলা-মামলা নির্যাতন চালান হয়, এর মানে কি এই দাঁড়ায় যে সরকার পরিবহণ সেক্টরকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন? কিন্তু কেন ! সরকার যদি তাদের প্রশ্রয় দেন তবে তারা সড়কে আরও হত্যা করতে উৎসাহী হবে। প্রতিদিন সড়কে কত জন খুন হচ্ছে? কত জন হত্যাকাণ্ডের শিকার হচ্ছে?? কিন্তু কেউ কে কি ধরা হচ্ছে??? ২/১জনকে ধরা হয় যদি কোন আন্দোলন হয়, আর আন্দোলন না হলে "ঢাকা পড়ে যায় হত্যাকাণ্ড"- যেমন ঢাকা প্রে গেছে মেধাবী শিক্ষার্থী আদনান তাসিন হত্যাকাণ্ড।

চলতি বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি সকালে সেন্ট জোসেফ কলেজ থেকে ফেরার পথে উত্তরা পরিবহন নামে একটি বাস ঢাকা বিমানবন্দর সড়কের শেওড়া বাসস্ট্যান্ডে জেব্রাক্রসিংয়ের ওপর (প্রস্তাবিত আদনান চত্বর) তাসিনকে চাপা দিয়ে চলে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে পথেই তার মৃত্যু হয়।






No comments:

Post a Comment