Monday, December 9, 2019
মেধাবী শিক্ষার্থী আদনান তাসিন হত্যাকাণ্ড বিচারহীনতার ৩০০তম দিবস
৮ই ডিসেম্বর ২০১৯ ইং রোজ রবিবার বাংলাদেশ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আদনান তাসিন হত্যার ৩০০তম দিন, নিরাপদ সড়ক আন্দলন (নিসআ), যাত্রী কল্যাণ সমিতি, এক্সেস টু হিউম্যান রাইট সহ বিভিন্ন কলেজ বিশ্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সহ বিভিন্ন সংগঠন একত্রিত হয়ে "আদনান তাসিন"হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধনের আয়োজন করেছে। উক্ত মানববন্ধনে অন্যান্য সংগঠনের কেন্দ্রীয় কর্মীরাসহ উপস্থিত ছিলেন, নিরাপদ সড়ক আন্দলন (নিসআ) মোহাম্মাদ তুহিন ফারাবি (সদস্য সচিব, কেন্দ্রীয় কমিটি নিসআ ও আহ্বায়ক-বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ, সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়) ইনজামুল হক রামিম (যুগ্ম আহ্বায়ক, কেন্দ্রীয় কমিটি নিসআ) আব্দুল্লা মেহেদি দিপ্ত (যুগ্ম আহ্বায়ক, কেন্দ্রীয় কমিটি নিসআ), সাব্বির হসেন, মেহেরুন নিপা প্রমুখ, এক্সেস টু হিউম্যান রাইট চেয়ারম্যান এডভোকেট এনামুল হক সরকার, সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) ইশতিয়াক আহমেদ বেলাল, মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা এডভোকেট মাজেদা মনি, এম সহিদ উদ্দিন এ্যানি, যাত্রী কল্যাণ সমিতির জিয়াউল হক, সড়কে সন্তান স্বজনহারা অভিভাবক ফোরামের মুক্তিযোদ্ধা আমান উল্লাহ সিকদার, বাইং গার্মেন্টস এম্পপ্ল্যী ফোরামের করিম, আশিকুর রহমান বাবু, মাহাবুবুর রহমান টিটন, পায়রা নিউজ এর সম্পাদক আখন্দ সালমান সাদি, এলাকাবাসী বাবর রহমান, সমগ্র সমাবেশটি পরিচালনা করেন মোহাম্মাদ তুহিন ফারাবি (সদস্য সচিব, কেন্দ্রীয় কমিটি নিসআ ও আহ্বায়ক-বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ, সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়) ব্যবস্থাপনায় ছিলেন নিরাপদ সড়ক আন্দলন (নিসআ),
মানববন্ধনে শহীদ আদনান তাসিনের বাবা আহসান উল্লাহ টুটুল বলেন, তাসিন হত্যার ৩০০ দিন অতিবাহিত হলেও এখনো ঘাতকদের ধরা হয়নি। বিচারের জন্য প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে শরণাপন্ন হলেও কোনো ধরনের বিচার সহানুভূতি বা বিচারের আশ্বাস পাইনি। তিনি আরও বলেন, সড়কে হত্যা, খুনের বিরুদ্ধে গণজাগরণ সৃষ্টি করতে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সব হত্যাকারী ঘাতকের সর্বোচ্চ সাজা ফাঁসি কার্যকর করতে হবে। বিচারহীনতা অপরাধ প্রবণতা থেকে অনুপ্রাণিত করে। নতুন নতুন আইন নয়,
আদনান তাসিনের হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও বিচারের আওতায় না আনা হলে - হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে সমগ্র দেশে বৃহৎ আন্দোলনের কর্মসূচী ঘোষণা করা হবে
তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন সম্প্রীতি কিছু সংখ্যক সন্ত্রাসী সড়কে নেমে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে, নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা ইলিয়াস কাঞ্চনের ছবিকে লাঞ্ছিত করে, নারীদের লাঞ্ছিত করে, পিইসি পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা দিতে বাধা দেয়, মুমূর্ষু রোগীবাহী এম্বুলেন্স চলতে দেয়নি।পুরো সড়ক জুড়ে মাত্র গুটি কয়েক ঘাতক ত্রাস ও সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। তারা সাধারন পথচারী- গাড়ির চালককে পোড়া মবিল মুখে মেখে দেয়,কিন্তু প্রশাসন তাদেরকে বারণও করেননি-বাধাও দেননি। পুরো বিশ্ব মিডিয়া তা দেখে অবাক বিস্মিত ! অথচ সড়কে হত্যাবন্ধ ও বিচারের দাবিতে যখন শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নামে তখন কমলমতি শিক্ষার্থীদের উপর হামলা-মামলা নির্যাতন চালান হয়, এর মানে কি এই দাঁড়ায় যে সরকার পরিবহণ সেক্টরকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন? কিন্তু কেন ! সরকার যদি তাদের প্রশ্রয় দেন তবে তারা সড়কে আরও হত্যা করতে উৎসাহী হবে। প্রতিদিন সড়কে কত জন খুন হচ্ছে? কত জন হত্যাকাণ্ডের শিকার হচ্ছে?? কিন্তু কেউ কে কি ধরা হচ্ছে??? ২/১জনকে ধরা হয় যদি কোন আন্দোলন হয়, আর আন্দোলন না হলে "ঢাকা পড়ে যায় হত্যাকাণ্ড"- যেমন ঢাকা প্রে গেছে মেধাবী শিক্ষার্থী আদনান তাসিন হত্যাকাণ্ড।
চলতি বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি সকালে সেন্ট জোসেফ কলেজ থেকে ফেরার পথে উত্তরা পরিবহন নামে একটি বাস ঢাকা বিমানবন্দর সড়কের শেওড়া বাসস্ট্যান্ডে জেব্রাক্রসিংয়ের ওপর (প্রস্তাবিত আদনান চত্বর) তাসিনকে চাপা দিয়ে চলে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে পথেই তার মৃত্যু হয়।
Friday, December 6, 2019
মেধাবী ছাত্র আদনান সামিনের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বৃত্তি লাভ
ঢাকা|
রাত ৮:১৪,শুক্রবার,৬ই ডিসেম্বর, ২০১৯ ইং||২২শে অগ্রহায়ণ, ১৪২৬ বঙ্গাব্দ||৮ই রবিউস-সানি, ১৪৪১ হিজরী||হেমন্তকাল
নগর প্রতিবেদক : গত ৪ঠা ডিসেম্বর ২০১৯, উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট পরীক্ষা ২০১৯ সালের ফলাফলের ভিত্তিতে বৃত্তিপ্রাপ্তদের তালিকা প্রকাশ করা হয়- এতে মেধাবী ছাত্র আদনান সামিনের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বৃত্তি লাভ, উল্লেখ্য আদনান সামিন ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত এইচ এস সি পরীক্ষায় ইংলিশ ভার্সন সায়েন্স “নটরডেম কলেজ” ঢাকা বোর্ড থেকে গোল্ডেন জিপিএ৫ (এ+) পেয়েছিল
,সে পিএসসি, জেএসসি, এসএসসি তে জিপিএ৫ পেয়েছিল, সে আরেক মেধাবী ছাত্র "সড়কে শহীদ আদনান তাসিন’র বড় ভাই, মেধাবী ছাত্র "সড়কে শহীদ আদনান তাসিন সেন্ট জোসেফ এর একাদশ শ্রেণীর মেধাবী ছাত্র সে ১১ই ফেব্রুয়ারী ২০১৯ কলেজ থেকে ফেরার পথে ঢাকা বিমান বন্দর সড়কে জোয়ার সাহারা বাস স্ট্যান্ড (প্রস্তাবিত আদনান চত্বর ) এ জেব্রা ক্রসিং দিয়ে রাস্তা পার হবার সময়ে তাকে শিক্ষার্থীর পোশাকে দেখে দ্রুতগামী ঘাতক বাস ক্রোধের বশে তাকে সজোরে ধাক্কা দিয়ে রাস্তায় ফেলে চাকায় পিষ্ট করে নির্মম নৃশংস ভাবে হত্যা করে।
কৃতিছাত্র আদনান সামিন’র বাবা আহসান উল্লাহ ভূঁইয়া টুটুল পায়রা.নিউজ’কে বলেন, আজকের এই দিনে বার বার আমার আদরের কনিষ্ট সন্তান মেধাবী ছাত্র আদনান তাসিনের কথা মনে পড়ে, তাকে এই রাষ্ট্র সমাজ হত্যা না করলে সেও ভালো ফলাফল করতো, তার ইচ্ছা ছিল সে পাইলট হয়ে আকাশে উড়বে।কিন্তু, রাষ্ট্র সমাজ হায়না পিচাশ তাকে বাঁচতে দেয়নি, আজো নিস্পাপ ছেলে হত্যার ন্যূনতম বিচারও পাইনি। আমার দুই সন্তানই বারিধারা স্কলারস এর মেধাবী ছাত্র ছিল, তারা নার্সারি থেকে এস এস সি পর্যন্ত কোন শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পরেনি, তাদের শিক্ষক তার মা, তাদের ভালো ফলাফলের কৃতিত্ব তার মা শাহিদা আক্তার অনেকাংশই প্রাপ্য।তারা শুধু লেখা পড়ায় নয়, খেলাধুলা, সঙ্গীত, সায়েন্স ফেয়ার, গনিত অলম্পিয়াড উৎসব সহ সবকিছুতেই তাদের পদচারণা। বাসায় তাদের শতাধিক মেডাল ,ট্রফি , সার্টিফিকেট সহ তাদের অনেক অর্জন
Saturday, November 30, 2019
বিচারহীনতা ঘাতকদের উৎসাহিত করে
মেধাবী
শিক্ষার্থী আদনান তাসিন সেন্ট যোসেফ কলেজের ইংলিশ ভার্সন সায়েন্স এর প্রথম
বর্ষের ছাত্র ছিল, গত ১১ই ফেব্রুয়ারিতে কলেজ থেকে বাসায় ফেরার পথে বিমান
বন্দর সড়কে শেওড়া বাস ষ্টেন্ডে জেব্রা ক্রসিং দিয়ে রাস্তা পার হবার সময়ে
দুরপাল্লার দ্রুত গামী ভ্রাম্মনবাড়িয়ার বাস তাকে শিক্ষার্থীর পোশাকে দেখে
ক্রোধের বশবর্তী হয়ে - ইচ্ছাকৃত ভাবে চাপা দিয়ে চলে যায়, তার পিতা গত ২ বছর
যাবৎ জিবিএস ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ, তথাপি তার সন্তানের জাষ্টিজ এর
জন্যে সবার দ্বারে দ্বারে আহাজারি করছে কিন্তু এখনো বিষয়টি কেউ আমলেই
নিচ্ছে না কারন ঘটনা টি আলোচিত হয়নি - ভাইরাল নয়, মিডিয়ায় আসেনি, তার
অধ্যায়নরত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষার্থী অভিভাবক প্রতিবাদ বা আন্দোলন
করেনি, সন্তানকে কবরে শূইয়ে এসে এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও এলাকাবাসী
নিয়ে মানববন্ধন করেন তার পিতা, তার কলেজ সেন্ট জোসেফে তিনি অনেক কষ্ট করে
নিজে গিয়েছে, সমর্থন চেয়ে পায়নি, কলেজের শিক্ষার্থীরা ২০১৯ এপ্রিল ১৩
তারিখে প্রতিবাদ করবে বলে ফেইসবুকে একটি ইভেন্ট দেয় কিন্তু সুবিধাভোগী
প্রিন্সিপ্যাল ও কিছু শিক্ষক শিক্ষার্থীরা তাও বন্ধ করে দেয়, তিনি মেয়র
মহোদয় এর সাথে ২ দিন দেখা করে, সেন্ট জোসেফ কলেজের প্রিন্সিপাল ও সে
স্কুলে ১৩ বছর পড়েছে বারিধারা স্কলারস’ র প্রিন্সিপালকে তাদের সমর্থন
প্রার্থনা করে, সহায়তা, সহানুভূতি পেলনা,
বিইউপি শিক্ষার্থী আবরার হত্যা কান্ডের বিচারের দাবিতে তিনি একাত্বতা প্রকাশ করে-অসুস্থ শরীর নিয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে রাজপথে নামে, আবরার এর বাবার সাথে ফোনে কথা বলে সহানুভূতি জা্নায়, তার প্রানপ্রিয় আদরের সন্তানের নির্মম হত্যার বিচারে দেশের সকল জনগন, সাংবাদিক, পেশাজীবী সহ সকলের সহযোগিতা প্রার্থনা করে ও সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেমন DU, CU, RU, IUB, CUET, BUET, KUET, RUET, DHAKA COLLEGE, TIUMIR COLLEGE, TEJGON COLLEGE, CITI COLLEGE, BUP, NSU, AIUB , GULSHAN COLLEGE, RAMIJUDDIN, DMC, CMC ইত্যাদি সহ দেশের সকল স্কুল কলেজ শিক্ষার্থীদের সমর্থন, সহানুভূতি, সহায়তা কামনা করে, তিনি তার প্রান প্রিয় সন্তান ফিরে পাবেন না, কিন্তু তিনি এই নির্মম হত্যাকান্ডের বিচার চান, দিয়া-করিম আন্দোলনের পর পরিবহণের ঘাতকদের মনে শিক্ষার্থীদের উপর ক্ষোভ, আক্রোশ, ক্রোধের সৃষ্টি হয় - যার ফল শ্রুতিতে তারা বেছে বেছে শিক্ষার্থীদের হত্যার মিশনে নেমেছে, অল্প কিছুদিনের ব্যবধানে ঢাকার উত্তর সিটি এলাকায় একের পর এক শিক্ষার্থী হত্যা করে, শিশু ফাইজা র হত্যার বিচার হলে, আদনান তাসিন কে হত্যা করতনা, আদনান তাসিনের হত্যার বিচার হলে আবরার কে হত্যা করতনা, আবরার হত্যার বিচার হলে লাবণ্যকে হত্যা করতনা, লাবণ্যর হত্যার বিচার হলে তাঞ্জিলা কে হত্যা করতনা, তাঞ্জিলার হত্যার বিচার হলে আরিফ কে হত্যা করতনা, আরিফের হত্যার বিচার হলে সাব্বির কে হত্যা করতনা, বিচারহীনতা ঘাতকদের উৎসাহিত করে,
বিইউপি শিক্ষার্থী আবরার হত্যা কান্ডের বিচারের দাবিতে তিনি একাত্বতা প্রকাশ করে-অসুস্থ শরীর নিয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে রাজপথে নামে, আবরার এর বাবার সাথে ফোনে কথা বলে সহানুভূতি জা্নায়, তার প্রানপ্রিয় আদরের সন্তানের নির্মম হত্যার বিচারে দেশের সকল জনগন, সাংবাদিক, পেশাজীবী সহ সকলের সহযোগিতা প্রার্থনা করে ও সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেমন DU, CU, RU, IUB, CUET, BUET, KUET, RUET, DHAKA COLLEGE, TIUMIR COLLEGE, TEJGON COLLEGE, CITI COLLEGE, BUP, NSU, AIUB , GULSHAN COLLEGE, RAMIJUDDIN, DMC, CMC ইত্যাদি সহ দেশের সকল স্কুল কলেজ শিক্ষার্থীদের সমর্থন, সহানুভূতি, সহায়তা কামনা করে, তিনি তার প্রান প্রিয় সন্তান ফিরে পাবেন না, কিন্তু তিনি এই নির্মম হত্যাকান্ডের বিচার চান, দিয়া-করিম আন্দোলনের পর পরিবহণের ঘাতকদের মনে শিক্ষার্থীদের উপর ক্ষোভ, আক্রোশ, ক্রোধের সৃষ্টি হয় - যার ফল শ্রুতিতে তারা বেছে বেছে শিক্ষার্থীদের হত্যার মিশনে নেমেছে, অল্প কিছুদিনের ব্যবধানে ঢাকার উত্তর সিটি এলাকায় একের পর এক শিক্ষার্থী হত্যা করে, শিশু ফাইজা র হত্যার বিচার হলে, আদনান তাসিন কে হত্যা করতনা, আদনান তাসিনের হত্যার বিচার হলে আবরার কে হত্যা করতনা, আবরার হত্যার বিচার হলে লাবণ্যকে হত্যা করতনা, লাবণ্যর হত্যার বিচার হলে তাঞ্জিলা কে হত্যা করতনা, তাঞ্জিলার হত্যার বিচার হলে আরিফ কে হত্যা করতনা, আরিফের হত্যার বিচার হলে সাব্বির কে হত্যা করতনা, বিচারহীনতা ঘাতকদের উৎসাহিত করে,
তিনি চাইনা #ঘাতকরা
তার সন্তানের মত সড়কে আর কারো প্রান কেড়ে নেয়, ঘাতকদের উৎসাহ দিলে তারা
আরো বেশি খুন করবে, এমনিতেই তাদের আক্রমণের বেশিরভাগ শিকার শিক্ষার্থী,
স্কুল বা কলেজ ড্রেস পরা দেখলেই মনে হয় তাদের উপর ঝাপিয়ে পড়ে, এখনও সময়
আছে, ওদেরকে থামাতে হবে, তাদের পরবর্তী টার্গেট আপনি বা আপনার আপনজনো হতে
পারে !
ঘাতক মুক্ত সড়ক
মনপ্রাণে ধারণ এবং খুনি ঘাতক হায়নাদের বিরুদ্ধে যদি আপনি শক্ত অবস্থানে
থাকেন তাহলে যুক্ত হোন এবং ছড়িয়ে দিন প্রতিবাদের বার্তা আর আওয়াজ তুলুন
একই স্লোগানে:
" ঘাতক মুক্ত সড়ক চাই "
Want justice for the murder of Adnan Tasin student of St. Joseph
Want justice for the murder of Adnan Tasin student of St. Joseph
ঘাতকমুক্ত সড়ক চাই
মেধাবী
শিক্ষার্থী আদনান তাসিন সেন্ট যোসেফ কলেজের ইংলিশ ভার্সন সায়েন্স এর প্রথম
বর্ষের ছাত্র ছিল, গত ১১ই ফেব্রুয়ারিতে কলেজ থেকে বাসায় ফেরার পথে বিমান
বন্দর সড়কে শেওড়া বাস ষ্টেন্ডে জেব্রা ক্রসিং দিয়ে রাস্তা পার হবার সময়ে
দুরপাল্লার দ্রুত গামী ভ্রাম্মনবাড়িয়ার বাস তাকে শিক্ষার্থীর পোশাকে দেখে
ক্রোধের বশবর্তী হয়ে - ইচ্ছাকৃত ভাবে চাপা দিয়ে চলে যায়, তার পিতা গত ২ বছর
যাবৎ জিবিএস ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ, তথাপি তার সন্তানের জাষ্টিজ এর
জন্যে সবার দ্বারে দ্বারে আহাজারি করছে কিন্তু এখনো বিষয়টি কেউ আমলেই
নিচ্ছে না কারন ঘটনা টি আলোচিত হয়নি - ভাইরাল নয়, মিডিয়ায় আসেনি, তার
অধ্যায়নরত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষার্থী অভিভাবক প্রতিবাদ বা আন্দোলন
করেনি, সন্তানকে কবরে শূইয়ে এসে এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও এলাকাবাসী
নিয়ে মানববন্ধন করেন তার পিতা, তার কলেজ সেন্ট জোসেফে তিনি অনেক কষ্ট করে
নিজে গিয়েছে, সমর্থন চেয়ে পায়নি, কলেজের শিক্ষার্থীরা ২০১৯ এপ্রিল ১৩
তারিখে প্রতিবাদ করবে বলে ফেইসবুকে একটি ইভেন্ট দেয় কিন্তু সুবিধাভোগী
প্রিন্সিপ্যাল ও কিছু শিক্ষক শিক্ষার্থীরা তাও বন্ধ করে দেয়, তিনি মেয়র
মহোদয় এর সাথে ২ দিন দেখা করে, সেন্ট জোসেফ কলেজের প্রিন্সিপাল ও সে
স্কুলে ১৩ বছর পড়েছে বারিধারা স্কলারস’ র প্রিন্সিপালকে তাদের সমর্থন
প্রার্থনা করে, সহায়তা, সহানুভূতি পেলনা, বিইউপি শিক্ষার্থী আবরার হত্যা
কান্ডের বিচারের দাবিতে তিনি একাত্বতা প্রকাশ করে-অসুস্থ শরীর নিয়ে
শিক্ষার্থীদের সাথে রাজপথে নামে, আবরার এর বাবার সাথে ফোনে কথা বলে
সহানুভূতি জা্নায়, তার প্রানপ্রিয় আদরের সন্তানের নির্মম হত্যার বিচারে
দেশের সকল জনগন, সাংবাদিক, পেশাজীবী সহ সকলের সহযোগিতা প্রার্থনা করে ও
সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেমন DU, CU, RU, IUB, CUET, BUET, KUET, RUET,
DHAKA COLLEGE, TIUMIR COLLEGE, TEJGON COLLEGE, CITI COLLEGE, BUP, NSU,
AIUB , GULSHAN COLLEGE, RAMIJUDDIN, DMC, CMC ইত্যাদি সহ দেশের সকল
স্কুল কলেজ শিক্ষার্থীদের সমর্থন, সহানুভূতি, সহায়তা কামনা করে, তিনি
তার প্রান প্রিয় সন্তান ফিরে পাবেন না, কিন্তু তিনি এই নির্মম হত্যাকান্ডের
বিচার চান, দিয়া-করিম আন্দোলনের পর পরিবহণের ঘাতকদের মনে শিক্ষার্থীদের
উপর ক্ষোভ, আক্রোশ, ক্রোধের সৃষ্টি হয় - যার ফল শ্রুতিতে তারা বেছে বেছে
শিক্ষার্থীদের হত্যার মিশনে নেমেছে, অল্প কিছুদিনের ব্যবধানে ঢাকার উত্তর
সিটি এলাকায় একের পর এক শিক্ষার্থী হত্যা করে, শিশু ফাইজা র হত্যার
বিচার হলে, আদনান তাসিন কে হত্যা করতনা, আদনান তাসিনের হত্যার বিচার হলে
আবরার কে হত্যা করতনা, আবরার হত্যার বিচার হলে লাবণ্যকে হত্যা করতনা,
লাবণ্যর হত্যার বিচার হলে তাঞ্জিলা কে হত্যা করতনা, তাঞ্জিলার হত্যার বিচার
হলে আরিফ কে হত্যা করতনা, আরিফের হত্যার বিচার হলে সাব্বির কে হত্যা
করতনা, বিচারহীনতা অপরাধিদের উৎসাহিত করে,
তিনি চাইনা #ঘাতকরা
তার সন্তানের মত সড়কে আর কারো প্রান কেড়ে নেয়, ঘাতকদের উৎসাহ দিলে তারা
আরো বেশি খুন করবে, এমনিতেই তাদের আক্রমণের বেশিরভাগ শিকার শিক্ষার্থী,
স্কুল বা কলেজ ড্রেস পরা দেখলেই মনে হয় তাদের উপর ঝাপিয়ে পড়ে, এখনও সময়
আছে, ওদেরকে থামাতে হবে, তাদের পরবর্তী টার্গেট আপনি বা আপনার আপনজনো হতে
পারে !
ঘাতক মুক্ত সড়ক
মনপ্রাণে ধারণ এবং খুনি ঘাতক হায়নাদের বিরুদ্ধে যদি আপনি শক্ত অবস্থানে
থাকেন তাহলে যুক্ত হোন এবং ছড়িয়ে দিন প্রতিবাদের বার্তা আর আওয়াজ তুলুন
একই স্লোগানে:
" ঘাতক মুক্ত সড়ক চাই "
৮ই ডিসেম্বর ২০১৯, সকাল ১০ টায় প্রেসক্লাবের সামনে "মানব্বন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ"
আদনান তাসিন সহ সড়কে সকল হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে, প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী শিক্ষক,
সামাজিক সংগঠনের সংগঠকদের অংশগ্রহণে **
৮ই ডিসেম্বর ২০১৯, সকাল ১০ টায় প্রেসক্লাবের সামনে
"মেধাবি শিক্ষার্থী
আদনান তাসিন সহ সড়কে সকল হত্যা কাণ্ডের বিচারের দাবিতে "মানব্বন্ধন ও
প্রতিবাদ সমাবেশ"
যে যেখানে আছেন সেই এলাকায়, সেই পাড়ায়, সেই মহল্লায়, দেশের ভিতর দেশের
বাহিরে, সড়কে হত্যা ও বিচারহিনতার বিরুদ্ধে গণজাগরণ সৃষ্টি করুন, #ঘাতকদের প্রশ্রয় দিলে তারা কাল আপনাকে বা আপনার স্বজনকে ছোবল মারবেই ...
ইতঃপূর্বে ১১ই
সেপ্টেম্বর ২০১৯ থেকে ৩০ই সেপ্টেম্বর ২০১৯ গণস্বাক্ষর অভিযান হয়,
সেন্ট জোসেফ কলেজ একাদশ শ্রেণীর মেধাবী ছাত্র আদনান তাসিন হত্যার ঘটনা
ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চলছে , আজ ২০৬ দিন অতিবাহত হলেও ঘাতকদের ধরা হয়নি,
বরং যে বাস দিয়ে আদনান তাসিন কে হত্যা করা হয় তাও বাসের মালিকের কাছে ফেরত
দিয়ে দেয়া হয়
আদনান তাসিনের বাবার ক্ষমতা নেই এবং অসুস্থ বলেই প্রশাসন এই বিষয়ে কিছুই করছেন না বরং ঘাতকদের বাঁচানোর চেষ্টা হচ্ছে
আদনান তাসিনের নির্মম হত্যার বিচারের দাবিতে আদনান তাসিনের বাবা উত্তরের মেয়র, পুলিশ প্রধান, ঢাকা পুলিশ প্রধান ও গুলশান রেঞ্জ এর পুলিশ কমিশনারের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন কিন্তু কোন গুরুত্তই নেই,
আদনান তাসিনের নির্মম হত্যার বিচারের দাবিতে এই যাবত বিভিন্ন স্থানে মানববন্ধন ও সংলাপ সহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়ঃ
(ক) মার্চ ২০১৯ - ( শেওড়া বাস স্ট্যান্ড) আদনান চত্বরে - #মানব্বন্ধন নিরাপদ সরক চাইয়ের প্রতিষ্ঠাতা ইলিয়াস কাঞ্চন সহ স্থানিয় গণ্যমান্য ব্যাক্তি , স্থানিয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী শিক্ষক, সামাজিক সংগঠনের সংগঠক
(খ) মে ২০১৯ - জাতিয় প্রেসক্লা্ক্লাব - #মানব্বন্ধন যাত্রী কল্যাণ সমিতির মোজ্জামেল হক , নিরাপদ সড়ক আন্দলন(নিসআ) সংগঠকবৃন্দ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, সামাজিক সংগঠনের সংগঠক
(গ) জুলাই ২০১৯- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টি এস সি - #সংলাপ - বিশিষ্ট সাংবাদিক সহিদুল আলম, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় ও বিশ্ব বিদ্যালয়ের নেত্রীবৃন্দ, ২০১৮ , ২৯শে জুলাই শিক্ষার্থী আন্দলনের নির্যাতিত ছাত্র নেত্রীবৃন্দ ও সড়ক পরিবহণ শ্রমিক নেতা
(ঘ) অগাস্ট ২০১৯ - ( শেওড়া বাস স্ট্যান্ড) আদনান চত্বরে - #মানব্বন্ধন নিরাপদ সরক চাইয়ের প্রতিষ্ঠাতা ইলিয়াস কাঞ্চন এর পুত্র জয়, আজাদ ভাই সহ, স্থানিয় গণ্যমান্য ব্যাক্তি , স্থানিয় শিক্ষা
কিন্তু এত কিছুর পরও প্রশাসন থেকে কোন আশ্বাস , সান্তনা , সহানুভূতি কিছুই পায়নি আদনান তাসিনের পরিবার।
মেধাবী শিক্ষার্থী আদনান তাসিন হত্যার ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চলছে
আদনান তাসিন সহ সড়কে সকল হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে আগামি ১১ই
সেপ্টেম্বর ২০১৯ থেকে ৩০ই সেপ্টেম্বর ২০১৯ গণস্বাক্ষর অভিযান শুরু করুন
যে যেখানে আছেন সেই এলাকায়, সেই পাড়ায়, সেই মহল্লায়, দেশের ভিতর দেশের
বাহিরে, সড়কে হত্যা ও বিচারহিনতার বিরুদ্ধে গণজাগরণ সৃষ্টি করুন, #ঘাতকদের প্রশ্রয় দিলে তারা কাল আপনাকে বা আপনার স্বজনকে ছোবল মারবেই ...
সেন্ট জোসেফ কলেজ একাদশ শ্রেণীর মেধাবী ছাত্র আদনান তাসিন হত্যার ঘটনা
ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চলছে , আজ ২০৬ দিন অতিবাহত হলেও ঘাতকদের ধরা হয়নি,
বরং যে বাস দিয়ে আদনান তাসিন কে হত্যা করা হয় তাও বাসের মালিকের কাছে ফেরত
দিয়ে দেয়া হয়
আদনান তাসিনের বাবার ক্ষমতা নেই এবং অসুস্থ বলেই প্রশাসন এই বিষয়ে কিছুই করছেন না বরং ঘাতকদের বাঁচানোর চেষ্টা হচ্ছে
আদনান তাসিনের নির্মম হত্যার বিচারের দাবিতে আদনান তাসিনের বাবা উত্তরের মেয়র, পুলিশ প্রধান, ঢাকা পুলিশ প্রধান ও গুলশান রেঞ্জ এর পুলিশ কমিশনারের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন কিন্তু কোন গুরুত্তই নেই,
আদনান তাসিনের নির্মম হত্যার বিচারের দাবিতে এই যাবত বিভিন্ন স্থানে মানববন্ধন ও সংলাপ সহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়ঃ
(ক) মার্চ ২০১৯ - ( শেওড়া বাস স্ট্যান্ড) আদনান চত্বরে - #মানব্বন্ধন নিরাপদ সরক চাইয়ের প্রতিষ্ঠাতা ইলিয়াস কাঞ্চন সহ স্থানিয় গণ্যমান্য ব্যাক্তি , স্থানিয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী শিক্ষক, সামাজিক সংগঠনের সংগঠক
(খ) মে ২০১৯ - জাতিয় প্রেসক্লা্ক্লাব - #মানব্বন্ধন যাত্রী কল্যাণ সমিতির মোজ্জামেল হক , নিরাপদ সড়ক আন্দলন(নিসআ) সংগঠকবৃন্দ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, সামাজিক সংগঠনের সংগঠক
(গ) জুলাই ২০১৯- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টি এস সি - #সংলাপ - বিশিষ্ট সাংবাদিক সহিদুল আলম, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় ও বিশ্ব বিদ্যালয়ের নেত্রীবৃন্দ, ২০১৮ , ২৯শে জুলাই শিক্ষার্থী আন্দলনের নির্যাতিত ছাত্র নেত্রীবৃন্দ ও সড়ক পরিবহণ শ্রমিক নেতা
(ঘ) অগাস্ট ২০১৯ - ( শেওড়া বাস স্ট্যান্ড) আদনান চত্বরে - #মানব্বন্ধন নিরাপদ সরক চাইয়ের প্রতিষ্ঠাতা ইলিয়াস কাঞ্চন এর পুত্র জয়, আজাদ ভাই সহ, স্থানিয় গণ্যমান্য ব্যাক্তি , স্থানিয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী শিক্ষক, সামাজিক সংগঠনের সংগঠক
** ৮ই ডিসেম্বর ২০১৯, সকাল ১০ টায় প্রেসক্লাবের সামনে "মেধাবি শিক্ষার্থী আদনান তাসিন সহ সড়কে সকল হত্যা কাণ্ডের বিচারের দাবিতে "মানব্বন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ"
কিন্তু এত কিছুর পরও প্রশাসন থেকে কোন আশ্বাস , সান্তনা , সহানুভূতি কিছুই পায়নি আদনান তাসিনের পরিবার।
কিন্তু এত কিছুর পরও প্রশাসন থেকে কোন আশ্বাস , সান্তনা , সহানুভূতি কিছুই পায়নি আদনান তাসিনের পরিবার।
সড়কে আদনান তাসিন সহ সকল হত্যাকাণ্ডের -বিচার চাই
আমার দোয়া আশা
আমার অভাগা নিষ্পাপ সন্তান ভালো আছে নিশ্চয় ওপারে- সে ভারি মিষ্টি ভারি
আদরের, নিষ্পাপ, পবিত্র ! তাকে নিয়ে এভাবে লিখব, বা তাকে এইভাবে হারাতে
হবে ভাবিনি, শূয়র- হায়না শকুন ঘাতকেরা এইভাবে নিষ্পাপ শিশুকে তাদের চাকায়
পীচের রাস্তায় পিষে বর্বর নির্মম ভাবে খুন করবে , সবই যেন স্বপ্ন, হয়ত
আমার স্বপ্ন ভেঙ্গে গেলে আমি আবার আমার নিষ্পাপ সেই পবিত্র মিষ্টি মুখটি
দেখব। কেন জানি প্রতিক্ষণ প্রতি মুহূর্তে মনে হয়, ইস সে যদি আমার সামনে
এসে আমাকে আব্বু বলে বুকে জড়িয়ে ধরে, বুকের ভিতরের তীব্র যন্ত্রণার ঢেউ
হয়ত একটু শান্ত হত, সড়কে ঘাতকের হাতে প্রান হারিয়ে আমার মত কত মা-বাবা
আদরের সন্তান হারিয়ে চোখে মুখে কান্নার রোল, আমার কান্নায় যেন শরীরের সকল
রক্ত অশ্রু হয়ে বের হয়ে আসতে চায়, কারন কষ্টে চোখের সকল জল আগেই শুকিয়ে
গেছে । তবুও স্বান্তনার জন্যই বেদনা ভুলে থাকার জন্য, কষ্ট গুলোকে চেপে
রেখে বিভিন্ন জায়গায় লিখি, কেউ আমার ফরিয়াদ শুনে না, মানুষের এত্ত সময় কৈ
এইসব লেখা পড়ার , মানুষের এত্ত সময় কথায় অন্নের কষ্টে সমবেথি হবার,
কি অপরাধ করেছিল
আমার নিষ্পাপ সন্তান? যার মিষ্টি পবিত্র আদরের মুখ দেখলে মিষ্টি হাসিতে
মনের সকল কষ্ট বিলিন হয়ে যায়, আমি আমার হীরের টুকরো দুই সন্তান নিয়ে সুখেই
ছিলাম, প্রতি রাতে শুতে গিয়ে আমি শোকর-আলহামদিলিল্লাহ বলে শুতে যেতাম,
আমার স্ত্রী, আমার দুই সন্তান আমার গর্ব , শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গর্ব ,
এলাকার গর্ব, আমার দুই সন্তান আমার ভালোবাসা , আমার কাছে আল্লাহর রহমত,
আল্লাহার অশেষ মেহেরবানীতে আমার দুই সন্তান মেধাবী ও ইনডোর আউটডোর
খেলাধুলা, কালচারাল প্রোগ্রাম, সায়েঞ্চ ফেয়ার সব দিক থেকে সম
ভাবেপারদর্শী, আমার সন্তান শুধু আমার নয় দেশেরও গরব, আমার জ্যেষ্ঠ ছেলে
আদনান সামিন বারিধারা স্কলার্স থেকে পিএসসি ও জেএসসি তে জিপিএ-৫ পায়, ২০১৭
সালে ইংলিশ ভার্সন সায়েন্স থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে এসএসসি পাশ করে, নটারডেম
কলেজে ইংলিশ ভার্সন সায়েন্স ২য় বর্ষের ছাত্র এবং কনিষ্ঠ ছেলে আদনান
তাসিন,বারিধারা স্কলার্স থেকে পিএসসি ও জেএসসি তে জিপিএ-৫ পায়, ২০১৮ সালে
ইংলিশ ভার্সন সায়েন্স থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে এসএসসি পাশ করে, সেন্ট যোসেফ এ
একদশ শ্রেণিতে ভর্তি হয়। আমার দুই সন্তানের জন্য কখনো প্রাইভেট টিচার এর
প্রয়োজন হয়নি, তার মা’ই ছিল তাদের আদর্শ, তাদের টিচার, তাদের শিক্ষা
প্রতিষ্ঠানে অনেকেই বলতো একই দুই ভাই মেধাবী, তারা নিয়ম মাফিক লেখাপড়া ,
কোরআন তেলওয়াত, নামাজ পড়তো, তাদের দুই ভাই ছিল পরম বন্ধুর মত, তারা সব
বিষয়ে আমাদের সাথে শেয়ার করতো, সদা উৎফুল্ল – হাসি খুশি থাকতো দুই ভাই, কোন
বিষয়ে তাদের কোনদিন কোন আবদার অভিযোগ ছিলনা, সব টাতে সন্তোষ থাকতো দুই
ভাই,
২০১৭ সালে হটাত
করে আমি জিবিএস ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সম্পুরন শরীর পারালাসেস হয়ে যায়, আমি
শয্যাশায়ী, ডাক্তার , ঔষধ , ফিজিও, তার পরও মনোবল ভাঙ্গে নি, দুই
সন্তানের কাঁধে ভর দিয়ে দাড়াঁতে শিখেছি, দুই সন্তানের উপর ভর করে হাটঁতে
শিখছি, দুই সন্তানের উপর ভর দিয়ে নতুন করে বাঁচতে শিখছিলাম, বাবার হাত ধরে
দাঁড়ানোর সৌভাগ্য অনেক সন্তানের হয় – কিন্তু সন্তানের হাত ধরে দাঁড়ানোর
সৌভাগ্য আমার হয়েছে, কিন্তু হায়না শকুন ঘাতক আমার আদরের নিস্পাপ ছোট্টো
সন্তানকে নির্মম ভাবে খুন করে, যে সন্তান মানুষকে বাঁচতে শেখায়- সে নিজেই
পৃথিবীতে থাকতে পারলো না আমি চিৎকার করে কাঁদিতে চাহিয়া করিতে পারিনি
চিৎকার আমি চিৎকার করে কাঁদিতে চাহিয়া করিতে পারিনি চিৎকার বুকের ব্যথা
বুকে চাপায়ে নিজেকে দিয়েছি ধিক্কার
আমার কলিজার
টুকরো নির্মম ভাবে খুন হবার পর এখনো পর্যন্ত নিত্যরাতে তার নিষ্পাপ আদুরী
মধুমাখা বার বার চোখে ভেসে উঠে, ইছা হয় এখনি তাকে বুকে নিয়ে ঘুমাই। আর তার
গর্ভ ধারিণী মা বার বার আঁচল দিয়ে চোখ মুছে- কোরআন তেলওয়াত নামাজ পড়ে
নিষ্পাপ সন্তানের জন্য প্রাথনা করে – নিজেকে নিজে সান্তনা দিতে চেষ্টা
করে, বড় ছেলেকে সান্তনা দিতে চেষ্টা করে, কিন্তু কষ্টের কান্না কিছুতেই
থামানো যায়না। পরিশেষে আদরের নিষ্পাপ সন্তানের জন্য সকলের কাছ থেকে দোয়া
কামনা করছি।
সন্তানের হত্যার বিচারের দাবিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন !!
বরাবর,
মাননীয়
প্রধানমন্ত্রী মহোদয়,
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়
তেজগাঁ - ঢাকা
বিষয়ঃ মেধাবী শিক্ষার্থী আদনান তাসিনকে
সড়কে হত্যার সুবিচারের জন্য আবেদন
জনাব,
নিবেদন এই যে মেধাবী শিক্ষার্থী আদনান
তাসিন (১৭),বারিধারা স্কলার্স থেকে
২০১৮ সালে ইংলিশ ভার্সন সায়েন্স থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে এসএসসি
পাশ করে, সেন্ট যোসেফ এ একদশ শ্রেণিতে ভর্তি হয়। গত ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯,রোজ সোমবার,
প্রায় দুপুর ২টার দিকে কলেজ থেকে বাসায় ফেরার পথে বিমানবন্দর সড়কে
শেওড়া রেলগেট নামক স্থানে জেব্রা ক্রসিং দিয়ে রাস্তা পারাপারের সময়, তাকে দ্রুতগামী উত্তরা পরিবহনের বাস ঢাকা মেট্রো ব- ১১ ৪৫৮৪ শিক্ষার্থীর পোশাকে দেখে ক্রোধের বশে তাকে চাপা দিয়ে সড়কে ফেলে চলে যায়, পথচারীরা
তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় স্থানীয় সরকারি কুর্মিটোলা হাসপাতালে নিলে
সেখানে তারা সড়কে আহত রোগীর চিকিৎসা করতে অপারগতা প্রকাশ করেন এবং বলেন ঢাকা মেডিক্যালে নিয়ে যেতে, বনানী এলাকায় গাড়ির তীব্র যানজট – রোগীর অবস্থা আশংখাজনক তাই তাকে ঢাকা সিএমএইচ
হাসপাতালে নিয়ে আনা হয়, কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত্যু ঘোষণা
করে ( ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্নালিল্লাহি
রাজাউন)
এখানে উল্লেখ্য যে,স্থানীয় সরকারি
কুর্মিটোলা হাসপাতালে তাৎক্ষনিক তার চিকিৎসা
করলে এবং ঢাকা মেডিক্যালে পাঠানোর সময়ে তাকে অক্সিজেন বা লাইফ সাপোর্ট দিলে তাকে নির্মম
ভাবে কষ্ট পেয়ে মরতে হত না। এ স্থানে বিকল্প ব্যবস্থা না করে ফুটওভার ব্রিজ অপসারণ করা হয় এবং জেব্রা
ক্রসিঙ্গ রঙ দেয়া থাকলেও – কোন স্পীড ব্রেকার বা ট্র্যাফিক পুলিশ বা ট্র্যাফিক সিগন্যাল নাই, সড়কের এই অব্যবস্থাপনা
/ অবহেলার জনিত কারনে ছেলেটা নির্মম ভাবে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে । তার মৃত্যুতে খিলখেত থানায় পরিবহন আইন ২০১৮/ ১০৫ ধারায় একটি মামলা হলেও এখনও কোন ঘাতককে ধরা হয়নি বা আদৌও ধরা হবে
বলেও আমার কাছে মনে হচ্ছে না, মামলাটিকে স্থানিয় থানা গুরুত্বর সাথে দেখছেন না, অন্যদিকে
গাড়ির মালিক এসে গাড়িটিও নিয়ে যায়, এলাকাবাসি, বিভিন্ন সংস্থা , মেধাবী শিক্ষার্থী
আদনান তাসিন হত্যাকাণ্ডের বিচার ও দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে দেশের বিভিন্ন অংশে মানব্বন্ধন,
প্রতিবাদ সভা করেন, তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য
(ক) মার্চ ২০১৯ - ( শেওড়া বাস স্ট্যান্ড)
আদনান চত্বরে - #মানব্বন্ধন নিরাপদ সড়ক চাই প্রতিষ্ঠাতা ইলিয়াস কাঞ্চন সহ স্থানিয় গণ্যমান্য
ব্যাক্তি , স্থানিয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী
শিক্ষক, সামাজিক সংগঠনের সংগঠক
(খ) মে ২০১৯ - জাতিয় প্রেসক্লা্ক্লাব - #মানব্বন্ধন যাত্রী কল্যাণ সমিতির মোজ্জামেল হক , নিরাপদ সড়ক আন্দলন(নিসআ) সংগঠকবৃন্দ, শিক্ষা
প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, সামাজিক সংগঠনের সংগঠক
(গ) জুলাই ২০১৯- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টি এস সি
- #সংলাপ - বিশিষ্ট সাংবাদিক সহিদুল আলম, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় ও বিশ্ব বিদ্যালয়ের নেত্রীবৃন্দ,
২০১৮ , ২৯শে জুলাই শিক্ষার্থী আন্দলনের
নির্যাতিত ছাত্র নেত্রীবৃন্দ ও সড়ক পরিবহণ শ্রমিক নেতা
(ঘ) অগাস্ট ২০১৯ - ( শেওড়া বাস স্ট্যান্ড)
আদনান চত্বরে - #মানব্বন্ধন নিরাপদ সরক চাইয়ের
প্রতিষ্ঠাতা ইলিয়াস কাঞ্চন এর পুত্র জয়, আজাদ ভাই সহ,
স্থানিয় গণ্যমান্য ব্যাক্তি , স্থানিয়
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী শিক্ষক, সামাজিক সংগঠনের
সংগঠক
সকলে মেধাবী আদনান তাসিন হত্যার সুবিচার ও নিম্ন লিখিত দাবি পেশ পেশ করছি
১ ) আদনান তাসিনকে হত্যাকারী ঘাতকবাস চালককে আটক করে দ্রুতবিচারে দৃষ্টান্তমূলক
শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
২ ) সড়কে অব্যবস্থাপনার জন্য দায়ি বাক্তি ও প্রতিস্থানের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি
নিশ্চিত করতে হবে।
৩ ) সরকারি কুর্মিটোলা হাসপাতালে
অবহেলার জন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
৪ ) আদনান তাসিনের পরিবারকে ক্ষতিগ্রস্থদের মত আর্থিক ক্ষতিপূরণ
প্রদান করতে হবে।
৫ ) আদনান তাসিনের নামে শেওড়ারেলগেট অঞ্চলস্থ ফুটওভারব্রিজের
নামকরণ করতে হবে।
আমি পোশাক
কারখানায় কর্মরত থাকা অবস্থায় ২০১৭ সালে হটাত করে দুরারোগ্য জিবিএস ভাইরাসে আক্রান্ত
হয়ে পুরোপুরি পারাল্যসিস হয়ে যাই, দীর্ঘ ১৭ মাস ব্যয়বহুল চিকিৎসা ও
ফিজিওর
পর হাঁটতে পারি তবে এখনো শরীরে ভারসাম্য আসেনি, তথাপি আমি ঢাকা উত্তর মেয়র মহোদয়,
গুলশান পুলিশ কমিশনারসহ অনেকের কাছে আবেদন
করি, কিন্তু কোন প্রতিকার পাইনি, আমার অর্থনৈতিক শক্তি বা প্রভাব বা প্রতিপত্তি
নেই যা দিয়ে আমি আমার নিস্পাপ সন্তানের নির্মম হত্যাকাণ্ডের বিচারের জন্য লড়বো, হত্যাকারী ঘাতক বাস চালক, হেল্পার, মালিক কে আটক করে
দ্রুত বিচারে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত ও সড়কে অব্যবস্থাপনার জন্য দায়ি
বাক্তি ও প্রতিস্থানের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত কল্পে আপনার হস্তক্ষেপ
প্রার্থনা করছি।
অতএব,মহোদয়ের নিকট আমাদের
আকুল আবেদন
এই যে, সড়কে আদনান তাসিনের হত্যার সুবিচার নিশ্চিত করতে মামলাটি ডিবি তে
হস্তান্তরের ব্যবস্থা করতে আপনার একান্ত মর্জি
হয় ও দোষীদের শাস্তি প্রদানে আপনার আশু হস্তক্ষেপ প্রার্থনা করছি
নিবেদক,
এলাকাবাসির পক্ষে
মাসুক আলম
জোয়ার সাহারা বাজার,
ভাটার্ ঢাকা ১২২৯
হায়না ঘাতকরা কেড়ে নিলো মেধাবী শিক্ষার্থী আদনান তাসিন কে
সড়কে হত্যা এখন বাংলাদেশের প্রধানা
সমস্যা বাংলাদেশ হেলথ ইনজুরি সার্ভে(বিএইচআইএস) শিরোনামে এই জরিপ পরিচালনা করা হয়,তাতে
দেখা যায়, প্রতি বছর বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ২৩ হাজার
১৬৬ জন নিহত হন৷ আর তাতে প্রতিদিন গড়ে নিহতের সংখ্যা ৬৪ জন৷কিন্তু প্রসাসনের কর্তা
বেক্তি ও নীতি নির্ধারকদের এই বিষয়ে কন মাথা বেথা নাই।সড়ক দুর্ঘটনা এড়াতে একটি
স্লোগান আমাদের নিকট খুবই পরিচিত, তা হচ্ছে-“নিরাপদ
সড়ক চাই”। কিন্তু নিরাপদ সড়ক তথা সড়কের নিরাপত্তা
দিয়ে আমাদের কি লাভ? সড়কের নিরাপত্তা নয়, আমরা
নিজেদের নিরাপত্তা চাই। দুর্ঘটনা থেকে মুক্তিসহ রাস্তা চলাচলের পূর্ণ নিরাপত্তা
চাই।
রাজধানীর জোয়ার সাহার এলাকায় প্রায় ১৭
বছর ধরে বসবাস করছি আমি আহসান উল্লাহ টুটুল,
আমার হীরের টুকরো দুই সন্তান নিয়ে আমার
সুখের সংসার, ঐশ্বর্য নেই, অঢেল ধন সম্পদ নেই, বড়
বড় অট্টালিকা নেই, কিন্তু আমার সংসারে ছিল, শান্তির
বেহেশত, সুখ আর শান্তিতে ভরা, আমার
পরিবার, প্রতিরাতেই আমার দুই সন্তানের সাথে ডাইনিং
টেবিলে বসে অনেক আলাপই হত, দুই সন্তানই আমার কাছে বন্ধুর মত, সর্বশেষ
১০ই ফেব্রুয়ারী তে রাতে ডাইনিং টেবিলে বসে আদরের ছোট্ট সন্তান আদনান তাসিনের সাথে
শেষ কথা, বিশেষত উত্তরায় শিশু ফাইযার মৃত্যু তাকে নাড়া
দেয় এবং সাম্প্রতিক সড়কে খুন হত্যা তাকে বিশেষ ভাবে নাড়া দেয়, সে
আমাকে বলে আব্বু, সড়কের নৈরাজ্য, হত্যা খুন এইসব নিয়ে ফেইসবুকে লেখতে
পারনা, আমি সেইদিনই ফেইসবুকে "সড়কে হত্যা
থামাও" পেইজ বানিয়ে, সড়কে হত্যার মিছিল ঠেকাতে গণজাগরণ
সৃষ্টির লক্ষে কাজ সুরু করি,
অনন্য দিনের মত ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
সকালে ফজরের নামাজের আযানের সাথে সাথে ঘুম থেকে উঠে ফযরের নামাজ পড়ে, কোরআন
তেলওয়াত , কলেজের উদ্দেশে যাত্রা করে, কিভাবে
সেই অবুঝ শিশু বুঝবে এই যাওয়া শেষ যাওয়া, আমার সন্তান আদনান তাসিন সেন্ট জোসেফ
কলেজ থেকে ফেরার পথে ঘাতক বাস তাকে জেব্রা ক্রসিঙ্গের উপর ঢাকা বমান বন্দর সড়ক
শেওড়া বাস স্ট্যান্ড ( আদনান চত্বর) দ্রুতগামি ভ্রামনবারিয়ার উত্তরা পরিবহন তাকে
চাপা দিয়ে চলে যায়, বিভিন্ন প্রচার মাধ্যম প্রচার করে, রাস্তা
পারা পারে জেব্রা ক্রসিং দিয়ে পার হন, আদনান তাসিন ত জেব্রা ক্রসিং দিয়ে পার
পার হচ্ছিল , জেব্রা ক্রসিং আছে কিন্তু সামনে পিছে স্পীড
ব্রেকার নাই, কোন ত্রাফিক পুলিশ নাই, কোন
সিগন্যাল নাই, আর কোন বিকল্প না রেখে এত বেস্ত রাস্তায়
ফুটওভার ব্রিজ কেন ব্রিজটি সরাল ?, এলাকায় এত মানুষ , স্কুল
কলেজ –
ডি ও এইচ এস বারিধ্রায় হাজার হাজার
অফিস, কেউ প্রতিবাদ করলনা, তাই
আজো জাস্তিস পেলাম না, আর পাবও না
পথচারীতাকে কুর্মিটোলায় নিল তারা তার
চিকিৎসা করলোনা - বললো ঢাকা মেডিক্যালে নিতে হবে - এখানে দুর্ঘটনার রুগীর চিকিৎসা
করেন না , আমার সন্তানের বাঁচার জন্য তীব্র যন্ত্রনায়
চিৎকারে আকাশ বাতাস ভারি হয়ে উঠে - শিশুর চিৎকার কারো হৃদয়ে সামান্যতম নাড়া
দেয়নি , প্রায় দেড় ঘণ্টা পরে আমারা সন্তান আসতে দেরি
দেখে আমারা ফোন করি, তখন তার এক সহপাঠী আমাদেরকে জানায়, তারা
হাসপাতালে আদনানের হাঁটু ও কনুই ছিলে গেছে বাস থেকে নামতে গিয়ে, ইত্যাদি
প্রায় দেড় ঘণ্টা আমার নিষ্পাপ সন্তান যুদ্ধ করে, পরে কুর্মিটোলা থেকে গলা ধাক্কা খেয়ে
বিনা চিকিৎসায়, এম্বুলাঞ্চে নিয়ে,ঢাকা
মেডিকেলের উদ্দেশে যাত্রা করে আমার আরেক- শিশু সন্তান -দীর্ঘ পথের জন্য তাকে অন্তত
অক্সিজেন তো দিতে পারতো -বনানীতে দীর্ঘ জ্যাম,
গাড়ির দীর্ঘ লাইন, আর
কত যন্ত্রনা সইতে পারে এক শিশু ! -
সর্বদাই হাসি খুশি থাকা টগবগে আমার শিশুটি চির তরে স্তব্দ হয়ে যায় - হটাৎ করে
পৃথিবীর সকল বাতাস কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ হয়ে যায় তার শোকে !
ঐদিকে
মা তার জন্য ভাত প্লেটে দিয়ে অপেক্ষা করছে আদরের সন্তান এসে ভাত খাবে, মা
কিভাবে জানে তার সন্তান বেওয়ারিশ হয়ে রাস্তায় মুখু থুবড়ে পড়ে আছে আর বাঁচতে চাই, বাঁচতে
চাই বলে চিৎকার করছে,পানি পানি বলে চিৎকার করছে !পানি পানি
বলে চিৎকার করছে !!
কোনো মিডিয়া তার মৃত্যুর খবর প্রচার
হয়নি , কারণ, তাদের কলেজ বা সেই কলেজের শিক্ষার্থীরা
সবাই চুপ- যেন কোথাও কিছু হয়নি, তার মর্মান্তিক মৃত্যু তাদের মনে
মনসামান্নতম দাগও কাটেনি , তারা নুন্নতম কোনোসহানুভুতি দেখাইনি, কোন
শিক্ষার্থী ফোনও করেনি, কোন অভিভাবক কোনোসহানুভুতি দেখাইনি, কোন
ফোনও করেনি, তারা কেউ প্রতিবাদ করেনি - বরং পর দিন কলেজ
বন্ধ রাখে যাতে বিষয়টি নিয়ে বেশি জানা জানি না হয় - এবং পরদিন কলেজ কর্তৃপক্ষ
বা শিক্ষার্থীরা গুজব ছড়িয়ে দেয় - ঘাতক ড্রাইভার হেলপার ধরা পড়েছে - যাতে করে
বাহিরের কোনো কলেজের শিক্ষার্থী আমার সন্তানের মর্মান্তিক হত্যার বিচারে রাস্তায়
না নামে , হয়তো কলেজ চেয়েছিল , নিজেরা
প্রতিবাদ করবে না অন্যরা যেন না করে,
আমি অসুস্থ শরীর নিয়ে সেন্ট জোসেফ
কলেজে যাই প্রিন্সিপ্যালের সাথে কথা বলতে, কিন্তু দেখা পেলাম না, পরে
টেলিফোন তাকে সবিনয়ে অনুরধ করি, থানায় একটু ফোন করে আসামিকে ধরার জন্য
বলতে , তিনি সরাসরি আমার আনুরধ প্রত্যাখ্যান করেন, অথচ
আমার সন্তান যখন খুন হয় তখনো সে বুকে ঝুলিয়ে রেখেছিল সেই কলেজের আইডিকার্ড, শরীরে
জড়িয়ে ছিল কলেজ ইউনিফরম, আর সে বারিধারা স্কলারস এ ১৩ বছর অধায়ন
করেছে তার প্রিন্সিপ্যাল এর সাথে দেখা করে তাকে অনুরধ করি, থানায়
একটু ফোন করে আসামিকে ধরার জন্য বলতে , তিনি সরাসরি আমার আনুরধ প্রত্যাখ্যান
করেন, অথচ এই ১৩ বছরে এই প্রতিষ্ঠানে তার অনেক সাফল্য
, মেডেল ,
ট্রফি , সার্টিফিকেট
আমার দোয়া আশা আমার অভাগা নিষ্পাপ
সন্তান ভালো আছে নিশ্চয় ওপারে- সে ভারি মিষ্টি ভারি আদরের, নিষ্পাপ, পবিত্র
! তাকে নিয়ে এভাবে লিখব, বা তাকে এইভাবে হারাতে হবে ভাবিনি, শূয়র-
হায়না শকুন ঘাতকেরা এইভাবে নিষ্পাপ শিশুকে
তাদের চাকায় পীচের রাস্তায় পিষে বর্বর নির্মম ভাবে খুন করবে , সবই
যেন স্বপ্ন, হয়ত আমার স্বপ্ন ভেঙ্গে গেলে আমি আবার আমার
নিষ্পাপ সেই পবিত্র মিষ্টি মুখটি দেখব। কেন জানি প্রতিক্ষণ প্রতি মুহূর্তে মনে হয়, ইস
সে যদি আমার সামনে এসে আমাকে আব্বু বলে বুকে জড়িয়ে ধরে, বুকের
ভিতরের তীব্র যন্ত্রণার ঢেউ হয়ত একটু শান্ত হত,
সড়কে ঘাতকের হাতে প্রান হারিয়ে আমার মত
কত মা-বাবা আদরের সন্তান হারিয়ে চোখে মুখে কান্নার রোল, আমার
কান্নায় যেন শরীরের সকল রক্ত অশ্রু হয়ে বের হয়ে আসতে চায়, কারন
কষ্টে চোখের সকল জল আগেই শুকিয়ে গেছে । তবুও স্বান্তনার জন্যই বেদনা ভুলে থাকার
জন্য, কষ্ট গুলোকে চেপে রেখে বিভিন্ন জায়গায় লিখি, কেউ
আমার ফরিয়াদ শুনে না, মানুষের এত্ত সময় কৈ এইসব লেখা পড়ার , মানুষের
এত্ত সময় কথায় অন্নের কষ্টে সমবেথি হবার,
কি অপরাধ করেছিল আমার নিষ্পাপ সন্তান? যার
মিষ্টি পবিত্র আদরের মুখ দেখলে মিষ্টি হাসিতে মনের সকল কষ্ট বিলিন হয়ে যায়, আমি
আমার হীরের টুকরো দুই সন্তান নিয়ে সুখেই ছিলাম,
প্রতি রাতে শুতে গিয়ে আমি
শোকর-আলহামদিলিল্লাহ বলে শুতে যেতাম, আমার স্ত্রী, আমার
দুই সন্তান আমার গর্ব , শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গর্ব , এলাকার
গর্ব,
আমার দুই সন্তান আমার ভালোবাসা , আমার
কাছে আল্লাহর রহমত, আল্লাহার অশেষ মেহেরবানীতে আমার দুই সন্তান মেধাবী ও ইনডোর আউটডোর
খেলাধুলা, কালচারাল প্রোগ্রাম, সায়েঞ্চ
ফেয়ার সব দিক থেকে সম ভাবেপারদর্শী, আমার
সন্তান শুধু আমার নয় দেশেরও গরব, আমার জ্যেষ্ঠ ছেলে আদনান সামিন
বারিধারা স্কলার্স থেকে পিএসসি ও জেএসসি তে জিপিএ-৫ পায়, ২০১৭
সালে ইংলিশ ভার্সন সায়েন্স থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে এসএসসি পাশ করে, নটারডেম
কলেজে ইংলিশ ভার্সন সায়েন্স ২য় বর্ষের ছাত্র এবং কনিষ্ঠ ছেলে আদনান তাসিন,বারিধারা
স্কলার্স থেকে পিএসসি ও জেএসসি তে জিপিএ-৫ পায়,
২০১৮ সালে ইংলিশ ভার্সন সায়েন্স থেকে
জিপিএ-৫ পেয়ে এসএসসি পাশ করে, সেন্ট যোসেফ এ একদশ শ্রেণিতে ভর্তি হয়।
আমার দুই সন্তানের জন্য কখনো প্রাইভেট
টিচার এর প্রয়োজন হয়নি, তার মা’ই ছিল তাদের আদর্শ, তাদের
টিচার, তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনেকেই বলতো একই দুই
ভাই মেধাবী, তারা নিয়ম মাফিক লেখাপড়া , কোরআন
তেলওয়াত, নামাজ পড়তো,
তাদের দুই ভাই ছিল পরম বন্ধুর মত, তারা
সব বিষয়ে আমাদের সাথে শেয়ার করতো, সদা উৎফুল্ল – হাসি
খুশি থাকতো দুই ভাই, কোন বিষয়ে তাদের কোনদিন কোন আবদার অভিযোগ
ছিলনা, সব টাতে সন্তোষ থাকতো দুই ভাই,
২০১৭ সালে হটাত করে আমি জিবিএস ভাইরাসে
আক্রান্ত হয়ে সম্পুরন শরীর পারালাসেস হয়ে যায়,
আমি শয্যাশায়ী, ডাক্তার
, ঔষধ , ফিজিও, তার পরও মনোবল ভাঙ্গে নি, দুই সন্তানের কাঁধে ভর দিয়ে দাড়াঁতে
শিখেছি, দুই সন্তানের উপর ভর করে হাটঁতে শিখছি, দুই
সন্তানের উপর ভর দিয়ে নতুন করে বাঁচতে শিখছিলাম, বাবার হাত ধরে দাঁড়ানোর সৌভাগ্য অনেক
সন্তানের হয় – কিন্তু সন্তানের হাত ধরে দাঁড়ানোর সৌভাগ্য আমার
হয়েছে, কিন্তু হায়না শকুন ঘাতক আমার আদরের নিস্পাপ
ছোট্টো সন্তানকে নির্মম ভাবে খুন করে, যে সন্তান মানুষকে বাঁচতে শেখায়- সে
নিজেই পৃথিবীতে থাকতে পারলো না
আমি চিৎকার করে কাঁদিতে চাহিয়া
করিতে পারিনি চিৎকার
আমি চিৎকার করে কাঁদিতে চাহিয়া
করিতে পারিনি চিৎকার
বুকের ব্যথা বুকে চাপায়ে নিজেকে দিয়েছি
ধিক্কার
এখানে
Subscribe to:
Posts (Atom)